ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে নিজের ও নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তাহীনতায় তিনদিন ধরে নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারছেন না হাসিনা আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

নিজের ও তাঁর নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণকারি নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার মুখে প্রচারণায় বের হতে পারছেন না কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ। তিনি যেখানেই গণসংযোগ ও প্রচারণায় যাওয়ার কর্মসূচি দিচ্ছেন সেখানেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সশস্ত্র ক্যাডারদের মহড়া এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের মারধর ও হুমকি-ধমকি দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করায় বিগত তিনদিন ধরে ঘরে বসেই দিন পার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এমনটাই দাবি করে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক এই সাংসদ এক বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন ধরণের সাড়া না পাওয়ায় নিজের ও কর্মীদের জীবন শংকায় তিনদিন ধরে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি।

তিনি নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টিআকর্ষণ করে আবারও নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি এবং তিনি ও তাঁর নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সহধর্মিনী এডভোকেট হাসিনা আহমদ বিবৃতিতে বলেন, আমরা কোন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা কিংবা অন্য কোন নির্বাচনী কর্মসূচি ঘোষণা করলেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন আমরা যাওয়ার আগেই সেখানে গোলাগুলি, নেতা-কর্মীদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। বাধ্য হয়েই তাৎক্ষনিক সেই কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।

তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন) নিজেরাই গোলাগুলি, ভাংচুর করে উল্টো আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা দিচ্ছে। চকরিয়ার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ইলিশিয়ায় নিজেদের গোলাগুলি ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের শিকলঘাট এলাকায় নিজেরাই নিজেদের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করে উল্টো বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দিয়েছে। চকরিয়া পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডে আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারসহ নেতা-কর্মীদের আহত করলেও সেই ঘটনায় মামলা নিয়ে আমরা থানায় গেলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

হাসিনা আহমদ বলেন, এই হলো চকরিয়া-পেকুয়ার নির্বাচনী লেভেল প্লেইং ফিল্ড! যেখানে সরকারি দলের জন্য সব মাফ! আর বিরোধী দলের প্রার্থীদের জন্য নেই কোন নিরাপত্তা।

তিনি বিবৃতিতে বলেন, আমরা চকরিয়া-পেকুয়ার নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছি। নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ধৈর্য্যধারণ করছেন। কিন্তু সেই ধৈর্য্যরেও একটা সীমা থাকে।

তাঁর মতে, সরকারি দলের এই অরাজক পরিস্থিতিতে যদি সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তখন এই নির্বাচনী এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

তিনি প্রশ্ন তুলেন, তখন আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির ওই দায় কারা নেবে?

এডভোকেট হাসিনা আহমদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চারজন নির্বাচন কমিশনার, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীকে আবারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহবান জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: